বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের মানুষ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দখলবাজিমুক্ত নেতৃত্ব চায়—এজন্যই জামায়াতকে তারা আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকার ঢাকা-৮ আসনে কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “মানুষ এখন সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্ব চায়। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। এমন রাষ্ট্র গঠনে আমরা প্রস্তুত—যেখানে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোনো বৈষম্য থাকবে না।”
২০০৮ সালের নির্বাচনকে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত, মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সমঝোতায় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই ধারাবাহিকতাতেই তারা পরের নির্বাচনগুলো নাটকীয়ভাবে আয়োজন করে। হাসিনা মার্কা কোনো নির্বাচন হলে জনগণ সেটি প্রতিহত করবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও কোনো সমঝোতা হয়, জনগণ তা মেনে নেবে না। এবার আর কোনো নাটকীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।"
জামায়াত নেতা বলেন, “ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে আবারো একটি দখলদার সরকার গঠন করতে চায়—জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, “জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস জামায়াতের প্রতি ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ছিলাম, আছি ও থাকব।
তিনি দাবি করেন, “জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে, যা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই জামায়াত নেতাদের বিচারিক হত্যায় লিপ্ত হয়েছিল।
তার ভাষায়, “জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি। বরং আওয়ামী লীগ দলগতভাবে গণহত্যার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হয়েছে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক শামছুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব শাহীন আহমদ খান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির শরীফুল ইসলাম।